আবদুল আউয়াল জনি. সিটিজি ভয়েস:
বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া নাবালিকাকে মুক্ত করলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হোসাইন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় ১১ই আগষ্ট উপজেলার ১৩নং বাজালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাজালিয়া হিন্দু পাড়া সাকিনের জীবন কৃষ্ণ ধর এর ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ে একা ধর এর সাথে ১৪নং পুরানগড় ইউনিয়নের ফকিরখীল সাকিনের মৃত ভুবন দাশ এর শ্রমজীবী ছেলে তুফান দাশ (২৫) এর বিবাহের দিনক্ষণ ঠিক হয়। বিষয়টি এলাকার সচেতন লোকজনের মাধ্যমে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হোসা্ইন অবগত হয়ে নাবালিকার অভিভাবক ও পাত্র পক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে কথা বলেন।
অতঃপর সাতকানিয়া থানার এসআই মোঃ সিরাজুল ইসলাম, এসআই মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকদের আজ জীবন কৃষ্ণ ধর এর বাড়ীতে পাঠানো হলে তারা সেখানকার স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে উক্ত জীবন দাশ এর বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে নাবালিকা ও পাত্র পক্ষের অভিভাবকদের বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝালে তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন এবং নাবালিকার অভিভাবক তাদের মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কোন বিবাহে বাধ্য করবে না মর্মে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মুচলেকা প্রদান করেন। পাত্র পক্ষও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মুচলেকা প্রদান করেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হোসাইন সিটিজি ভয়েসকে বলেন বাল্য বিবাহ একটি মস্তবড় অভিশাপের নাম, বাল্যবিবাহ একটি নারীকে অঘোষিত মৃত্যুঝুকির পথে ঠেলে দেয়, এছাড়াও একটি নাবালিকা মেয়ে কারো স্ত্রী হয়ে সংসারের সবাইকে মানিয়ে চলতে সক্ষম হয়না ফলে বিয়ের বছর না ঘুরতেই স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে অনিশ্চিত জীবনে ফিরে আসে অথবা শশুরবাড়ীর লোকজনের অত্যাচারে মৃত্যুবরণ করে নয়ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, এসব বিবেচনায় বাল্য বিবাহ বন্ধে সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।