আবদুল আউয়াল জনি, সিটিজি ভয়েস:
এখনো কেন মামলা তুলে নিসনি? মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলব কুত্তার বাচ্চা, এভাবে শাসিয়ে ইতিপূর্বে একই ধরনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী আকতার হোসেনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে মামলার একমাত্র আসামী জহির উদ্দিন। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত আকতার হোসেনকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ২৭শে মে বিকেলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের আকবর পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত মামলার বাদী আকতার হোসেন লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের আকবর পাড়ার আবদুল মালেক এর পুত্র।
অপরদিকে অভিযুক্ত মামলার আসামী জহির উদ্দিন একই এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র।
আহত মামলার বাদী আকতার হোসেন জানান অভিযুক্ত জহির উদ্দিন তার চাচাতো ভাই, তাদের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে তারই সুত্র ধরে গতবছরের মে মাসে তার স্ত্রী রোজিনা আকতারকে মারধর করে অভিযুক্ত জহির, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা হয়, এরপরও অভিযুক্ত জহির নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রাখলে তিনি ১৭/০৯/২০১৮ইং লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেন যার নম্বর-৭৪৭। বর্তমানে লোহাগাড়া থানার সাধারন ডায়েরিটি চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিষয়টি সুষ্টভাবে নিস্পত্তির জন্য আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইউব মিয়ার উপর দায়িত্ব অর্পন করলে তিনি ১৫/০৪/২০১৯ইং ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে হাজির হতে উভয়পক্ষকে নোটিশ পাঠান, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে হাজির হলেও দম্ভভরে চেয়ারম্যান আইউব মিয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি অভিযুক্ত জহির, এরপর থেকে মামলা তুলে না নিলে ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকি সহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল, সর্বশেষ গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমার মোটরসাইকেল এর গতিরোধ করে আমাকে মারধর করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় জহির, রক্তাত্ত অবস্থায় আমার এক চাচাত ভাই আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাটিয়ে দেয়।

লোহাগাড়া থানায় লিপিবদ্ধ সাধারন ডায়েরি
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জহির উদ্দিনের মোবাইলে কল করলে সেটি বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নী।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ জানান আহত আকতারের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে, মাথার আঘাতটি কতটুকু গুরুত্বর সেটা সিটিস্ক্যান করলে জানা যাবে।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর পাটানো নোটিশ
এবিষয়ে জানতে চাইলে আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইউব মিয়া বলেন, মহামান্য আদালত বিষয়টি আমার সুষ্টভাবে নিস্পত্তির জন্য আমার উপর দায়িত্ব অর্পন করলে আমি উভয়পক্ষকে নোটিশ ইস্যুর মাধ্যমে ১৫/০৪/২০১৯ইং গ্রাম আদালতে আসতে বলি অভিযুক্ত জহির দম্ভভরে আমার করে দেওয়া সমাধান মানতে রাজি হয়নি ফলে আমি বিষয়টি মহামান্য আদালতকে জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছি, এসবের মধ্যে আবারও আবেদনকারীর উপরে হামলা আদালত অবমাননার সামিল, আবেদনকারী এবিষয়ে প্রশাসনকে জানালে আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করব।
এবিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ জহির উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি তবে এখনো থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক দোষীকে গ্রেফতার সহ যথাযথ আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করব।