সিটিজি ভয়েস টিভি ডেস্ক:
আজ শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে একনিষ্ঠ কর্মদক্ষতা, পরিশ্রম, সমন্বয়, সততা ও কর্মীদের সময় দেয়ার কারণে পদোন্নতি পাবেন দলের কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এমনটা প্রত্যাশা করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা যায় জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম। যাদের আমলনামা ভাল তারমধ্যে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার নাম অন্যতম।
সততার বিরল দৃষ্টান্তের অধিকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ছাত্রজীবনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তার পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। সর্বশেষ গত কাউন্সিলে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন, পরবর্তীতে তাকে পদোন্নতি দিয়ে কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক করা হয়। সর্বশেষ গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সকল সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইলেও একমাত্র ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাননি। তখন তিনি বলেছিলেন যদি সবাই মনোনয়ন চায় তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে জয়ের জন্য কাজ করবে কে ?
উল্লেখ্য, ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কলেজ জীবনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাতকানিয়া সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৮ সালে ইসলামী ছাত্র শিবির কর্তৃক মারাত্মকভাবে আহত হয়েও কৌশলের কারণে প্রাণে বেঁচে যান। ছাত্রলীগ করার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রয়ারী বাংলা একাডেমির বই মেলায় অবৈধ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বই মেলায় আসাকে প্রতিরোধ করার সময় পুলিশের নিমম নির্যাতনের শিকার হয়ে রক্তাক্ত হন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পরিচয়ে নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তার নিজস্ব যোগ্যতা ও মেধায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা বিভাগে প্রযোজক পদে চাকুরী পেলেও ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে তাকে অবৈধভাবে চাকুরীচ্যুত করা হয়। ১/১১ এর সময়ে কারান্তরীন বঙ্গবন্ধ কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে লন্ডনে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গডন ব্রাউনের কাছে ই-পিটিশন প্রেরন করেন।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লবী বড়ুয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মূল অফিস এবং নতুন অফিস সকাল, বিকাল, রাত মনিটরিং করতেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন কমিশনের সাথে প্রতিদিন সমন্বয় করতেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিটি জেলায় সংসদীয় প্রার্থীকে নৌকা মার্কায় বিজয়ী করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ.টি.ইমামের সাথে সমন্বয় করে কাজ করেন। নির্বাচন কমিশনে সকাল বিকাল গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কমিশনের কাছে তুলে ধরতেন এবং বিভিন্ন সংসদীয় আসনের সমস্যাসমূহ সমাধানের চেষ্টা করতেন। প্রধানমন্ত্রী গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার কর্মদক্ষতা, পরিশ্রম ও সততার জন্য প্রধানমন্ত্রীর এপিএস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজে লাগানোর চিন্তা করেই তাকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে নিয়োগ দেন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগের স্বপক্ষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বিরোধী দলের কাউন্টার জবাব দিতে টকশোতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এছাড়া টিভি মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সমন্বয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তরের পক্ষে গুরুত্বপূন ভূমিকা রাখেন। নির্বাচনের পূর্বে নিরাপদ সড়ক চাই এর নামে আন্দোলন নামে গুজব রটিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা করলে তিনি সাহসী ভূমিকা রাখেন, হামলা মোকাবেলা করতে গিয়ে তার অনেক সহযোদ্ধা সহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আহত হন। ঘটনাস্থলে তিনি আওয়ামী লীগ এর আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
২০০৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিডিয়া সেন্টারে অন্যতম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিদেশী সাংবাদিকদের ও বিদেশী পযবেক্ষকদের দলের পক্ষে সমন্বয় করেন এবং তাদেরকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণ ব্যাখ্যা করেন। যাতে বিদেশী পযবেক্ষকরা সব বুঝতে পারেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক রাজনৈতিক সংলাপে এবং মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর পক্ষে অনুর্ধ্ব ৪০ নেতাদের দলের প্রধান সম্বনয়ক হিসেবে চীন গমন করেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে চীন সরকার ও চীনের রাজনৈতিক দল সমূহের সাথে গুরুত্বপূন সংলাপ ও মতবিনিময়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হওয়ার পর তিনি একদিকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাজ করেন অন্যদিকে প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সমস্যা শুনেন ও সমাধানে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেন। তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় মুগ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আরো গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায়। তার ধারাবাহিক সফল কর্মকান্ডের কারণে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা তার পদোন্নতি চায়।