ডাক্তার এম এ মজিদ ওসমানী:
১. কাউকে গায়ের কাছে ঘেঁসতে দেবেন না।
২. আগামী অন্ততঃ ৬ মাস আরো দ্বিগুণ সাবধান হোন।
৩. মাস্কের সাথে ফেস্ শিল্ড ব্যাবহার করুন। বাইরে বেরোলে, খুব কার্যকরী। আর সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৪. পকেটে সবসময় স্যানিটাইজার রাখুন, প্রতি আধঘন্টা বা এক ঘন্টায় সেটা ব্যাবহার করুন।
৫. মোবাইলটি একটি পলিথিনে রাখুন- মোবাইল প্রধান Fomite হতে পারে- fomite এর মানে কী? গুগোল করুন।
৬. হেডফোন- না! কারণ এতে জীবাণু লেগে থাকতে পারে।
৭. স্পিকার মোডে কল রিসিভ- হ্যাঁ! মোবাইল কানের কাছে নিয়ে কল রিসিভ থেকে বিরত থাকুন।
৮. পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভিড় এড়ান, এটা সবথেকে রিস্কি জায়গা।
৯. বাড়ির বাইরে খাওয়া এড়ান, শুকনো high calorie snack যেমন বাদাম, শুকনো ফল অল্প রাখুন সাথে, নিজের জল তো বটেই।
১০. বেরিয়ে বা কাজে খাবার বা জল শেয়ারিং বন্ধ করুন।
১১. অপ্রয়োজনীয় লোক সমাগম এড়িয়ে চলুন।
১২. বাইরে থেকে বা বাজারে পাওয়া টাকা নোট আলাদা পলিথিনে আনুন – এনে পারলে দুদিন একটা ট্রেতে রেখে দিন খোলা হাওয়াতে।
১৩. যেখানে সেখানে হেলান দেওয়া , বসা, কনুইএ ভর দেওয়া – ভুলে যান।
১৪. একটা ক্যাপ মাথায় থাকলে ভালো, মহিলাদের ক্ষেত্রে ওড়না।
১৫. কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে বেরোন- যা প্রায় ধোয়া যাবে- লেদার বা মোটা ক্যানভাসের ব্যাগের ফ্যাশন বাদ দিন।
১৬. ঘড়ি- না!
১৭. আংটি- না । ( জানি অনেকেই মানবেন না)।
১৮. জুয়েলারী- না!
১৯. পাবলিক ওয়াশরুম- বুঝে শুনে!
২০. মাস্ক রোজ চেন্জ হবে- অথবা প্রতিদিন ধুতে হবে।
২১. গ্লাভস্ প্রয়োজন নেই, যদি বারবার হাত ধুতে পারেন।বরং গ্লাভ্স এ জীবানু লেগে থাকার রিস্ক বেশী।
লেখক: ডাক্তার এম এ মজিদ ওসমানী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।