হাসপাতালে পুলিশ সদস্য জনি খাঁনকে দেখতে গেলেন ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া

আবদুল আউয়াল জনি, সিটিজি ভয়েস টিভি:

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, একজন নিরহংকারী ও মানবিক মানুষ হিসেবেই পরিচিতি তাঁর, করোনাকালীন সময়ে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার হাজার হাজার মানুষের জন্য নিজ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ খাদ্যসামগ্রী, অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, স্যানিটাইজার, কাপড়চোপড়, সাবান সহ নানাবিধ জিনিস পৌঁছে দিয়েছেন, এছাড়াও পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সেহরি সামগ্রী এবং শাড়ী-লুঙ্গী পাঠানোর মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন।

শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি মানবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান এরই ধারাবাহিকতায় লোহাগাড়ায় আসামির দা’য়ের কোপে কবজি হারানো পুলিশ সদস্য জনি খানের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে রাজধানী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ রোডের আল মানার হাসপাতালে ছুটে গেলেন ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

এসময় তিনি পুলিশ সদস্য জনি খানের চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে রোববার সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখিল এলাকায় আসামি কবির আহমদকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। এ সময় কবির গ্রেফতার এড়াতে ধারালো দা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তার ধারালো দায়ের কোপে জনি খানের বাঁ হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় আরেক পুলিশ সদস্য আহত হন। গুরুতর অবস্থায় জনিকে প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে পুলিশ সদর দপ্তরের তড়িৎ উদ্যোগে হেলিকপ্টার যোগে তাঁকে ঢাকায় আনা হলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ রোডের আল মানার হাসপাতালে টানা ১০ ঘন্টা অপারেশন শেষে তার হাতের কবজি জোড়া লাগাতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা।

জনি খানের ওপর হামলার ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত কবির আহম্মদের স্ত্রী রুবি বেগমকে বান্দরবান সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কবির আহম্মদকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

এর আগে রোববার সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযানে গিয়ে আসামির দায়ের কোপে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয় কনস্টেবল জনি খানের। একই ঘটনায় আরও এক কনস্টেবল আহত হন। ঘটনার পর পালিয়ে যেতে সক্ষম হন আসামি কবির আহম্মদ।

মতামত