সিটিজি ভয়েস টিভি ডেস্কঃ
রাশিয়ার মার্সেনারি দল ওয়াগনারকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করার পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। এর মানে হল, কেউ ওয়াগনারে যোগ দিলে, কিংবা ওই দলকে সমর্থন দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে যুক্তরাজ্য প্রশাসন।
বুধবারই এ প্রস্তাবের খসড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উপস্থাপন হওয়ার কথা। এ প্রস্তাব পাস হলে ওয়াগনারের সম্পদকে সন্ত্রাসীদের সম্পদ বিবেচনা করে তা জব্দ করতে পারবে সরকার।
ওয়াগনারকে একটি ‘সহিংস ও ধ্বংসাত্মক’ বাহিনী হিসেবে বর্ণনা করে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারমান বলেছেন, “এটা ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার একটি সামরিক অস্ত্র। ইউক্রেইর ও আফ্রিকায় ওয়াগনার যা করছে,তা পুরো বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
তার ভাষায়, ওয়াগনার স্পষ্টতই একটি ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ এবং তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল ক্রেমলিনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করা।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পাশাপাশি সিরিয়া, লিবিয়া ও মালিসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ওয়াগনার বাহিনী। ইউক্রেইনে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এ বাহিনীর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালে ভাড়াটে সৈন্যদল ওয়াগনার গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন পুতিন ঘনিষ্ঠ ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এ বছরের শুরুতে প্রিগোজিনের নেতৃত্বে কয়েক হাজার ওয়াগনার যোদ্ধা মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তবে সেই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়ে গেলে এ ভাড়াটে সৈন্যদলের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।
গত ২৩ অগাস্ট বিমান বিধস্ত হয়ে কয়েকজন সহযোগীসহ নিহত হন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন। পরে তাকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সমাহিত করা হয়। ওই ঘটনাকে ক্রেমলিনের প্রতিশোধ হিসেবে দেখেন অনেকে।
ওয়াগনার যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হলে সেখানে ওই দলকে সমর্থন জানানো ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হবে। ওই সংগঠনের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বৈঠক করা, সংগঠনের লক্ষ্য সমর্থন করা এবং এর পতাকা বা লোগো প্রর্দশন করার মত কাজকে অপরাধ বিবেচনা করে সেজন্য ১৪ বছরের জেল বা ৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।
– সংবাদসূত্র: বিবিসি