ই-পেপার | শুক্রবার , ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
×

বিপ্লব-আমিন, নদভীসহ ২০২ জনকে আসামী করে লোহাগাড়ায় মামলা দায়ের

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

পেনাল কোর্টের ১০টি ধারার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামীর সংখ্যা ৩০০/৫০০ জন

সিটিজি ভয়েস টিভি ডেস্ক:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, আবু রেজা নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, সাতকানিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জুবায়েরসহ ২০২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০-৫০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২৬শে আগস্ট সোমবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের পুরাতন থানা এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয় বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ই আগস্ট “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন” এ তোপের মুখে স্বৈরাচার অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন হলে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ আনন্দ মিছিল নিয়ে লোহাগাড়া আমিরাবাদ ব্যাংক এশিয়ার সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর পৌছালে উপরে উল্লেখিত ১-১৫নং আসামীগণের প্ররোচনায়, অর্থায়নে ও তাহাদের নির্দেশে ১৬-২০২ আসামীগণ সহ ও অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীগণ উক্ত আনন্দ মিছিলের গতিরোধ করতঃ বেধড়ক মারধর করা শুরু করে এবং উক্ত মিছিল ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে উল্লেখিত এলাকার সংহতি ও জন নিরাপত্তা বিপন্ন করিবার জন্য আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ ককটেল ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং উপর্যুপুরি গুলি চালিয়ে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির করে এবং আসামীগণ পূর্বপরিকল্পিতাবে দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্র-শস্ত্র, লোহার রড, তরবারী, বর্শা, বর্শার ফলক ও আগ্নেয়াস্ত্র (হ্যান্ডগান, রাইফেল, শর্টগান) নিয়া অতর্কিতভাবে হামলা করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে ছাত্রজনতাকে ধাওয়া করে। উপস্থিত ছাত্র জনতা ভয়ে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। তৎপর ১৬-২০২নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ ঘটনাস্থলে বিভিন্ন মুদির দোকান, ফার্মেসী, চায়ের দোকান ভাংচুর করে এবং আশেপাশে থাকা কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ও মোটর সাইকেল ভাংচুর করিয়া আগুন ধরাইয়া দিয়া ভস্ম করিয়া আনুমানিক ১,০০,০০,০০০/- (এক কোটি) টাকার অধিক ক্ষতিসাধন করেন। এরপর আসামীগণ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়া মিছিল সহকারে পুরাতন থানার মোড় হয়ে লোহাগাড়া থানার সামনে গিয়ে আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণকারী সাধারন ছাত্র জনতার উপর গুলি ছুড়তে থাকলে আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন ছাত্রজনতা আহত হয়। একপর্যায়ে থানা এলাকায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও পুরো এলাকায় ককটেল ও প্রকাশ্য জনসম্মুখে গুলি ছুড়ায় এবং আসামীগণের হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ অবৈধ অস্ত্র থাকায় প্রাণের ভয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন নাই। এজাহারনামীয় ১৬-২০২নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ একযোগে পরস্পর যোগসাজসে বিকাল ০৫.০০ ঘটিকা হইতে রাত ১২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত সময়ে আসামীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে ছাত্র জনতার উপর গুলি ছুড়ে আহত করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমতে ভীতি সৃষ্টি করার অপরাধ করে। উল্লেখ্য যে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য উল্লেখিত আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে উল্লেখিত ঘটনা ঘটিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য উক্ত ঘৃণিত কাজটি ১-১৫নং আসামীগণের ইন্ধনে, প্ররোচনায়, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহয়তায় এজাহানামীয় ১৬-২০২নং আসামীগনসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০জন আসামী উক্ত ঘৃণিত ঘটনা সংঘটিত করেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের পুরাতন থানা এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয় বাদী হয়ে ২০২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০-৫০০ জনকে আসামী করে পেনাল কোর্টের ১০টি ধারায় লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত রিপোর্ট