সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলাধীন উত্তর সাতকানিয়া বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম রাহী বলেন, ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দমনপীড়ন থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী রেহাই পায়নি। মামলা হয়েছে দেড় লাখ এবং আসামি ৬০ লাখ। নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের পিতা, সন্তান এমনকি স্ত্রীকেও ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। সুতরাং স্বৈরাচার হঠানোর সফলতায় বিএনপির অবদানকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই।
শনিবার (১৪ আগষ্ট) বিকেলে উত্তর সাতকানিয়ার বাজালিয়া হেদয়েতুল ইসলাম ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে বাজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সব মত ও পথের ব্যক্তির পরিচয় যাই হোক না কেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। প্রতিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বিএনপি। ৫ই আগস্ট গণতন্ত্রের পথ সুগম হয়েছে। দেশের মানুষের আশার প্রতিফলন হিসেবে রাজপথে নেমে এসেছে বিএনপি। আন্দোলনে কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য নয়, বরং দেশের মানুষের জন্য রাজপথে নেমেছে বিএনপি।
শফিকুল ইসলাম রাহী বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, এর প্রকাশ ছিল ১০ ডিসেম্বরের ১০ দফায়। শেষে যখন এক দফা আন্দোলন শুরু করে, সেসময় বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ ১০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়। কিন্তু বহুমাত্রিক এই নিপীড়ন উপেক্ষা করে বিএনপি রাজপথে ছিল। সাভারে গান পাউডার দিয়ে যে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে তার মধ্যে বিএনপি নেতাও ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের ওপর অত্যাচার চালিয়ে লাখ লাখ নেতাকর্মীকে ঘরছাড়া করেছে। অতএব আবারো বলছি, স্বৈরাচার হঠানোর সফলতায় বিএনপির অবদানকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই।
অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনির আহমদ এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মমতাজ, নাছির উদ্দিন, শামসুল ইসলাম, বাবলু মেম্বার, মোহাম্মদ আবু ছৈয়দ, মোহাম্মদ ফোরকান, রাশেদুল ইসলাম , আরিফুল ইসলাম, ফৌজুল কবির রুবেল, ওবাইদুল আরাফাত, আশিকুর রহমান আশিক, আতিকুর রহমান, আমান তানজিব, আবদুল মোমেন প্রমূখ।